Infinix Hot 40 Pro, মোবাইলটি গেমস লাভারদের জন্য কেমন হবে বিস্তারিত রিভিউ করা হলো
দেশের বাজারে এসেছে নতুন Infinix এর নতুন মোবাইল Hot 40 Pro ফোনটিকে Infinix এর একটি গেমিং স্মার্টফোন বলে দাবি করা হচ্ছে, কারণ এর শক্তিশালী চিপসেটের কারণে এটিকে একটি গেমিং মোবাইল হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে । এই মোবাইলটির অসাধারণ ব্যাটারি পারফোমেন্স এর কারনে এটিকে একটি গেমিং ফোনের শিরোনাম দিয়েছে Infinix বলেছে যে এই ফোনটি শক্তিশালী এবং উন্নত ফিচারে ভরপুর তরুণ গেমারদের সেরা গেমিং অভিজ্ঞতা দিতে Infinix Hot 40 Pro এর বিকল্প নেই, আসুন মোবাইলটির বৈশিষ্ট্য এবং দাম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
Infinix Hot 40 Pro- ফোনটিতে কি কি আছে?
Infinix Hot 40 Pro এর প্রধান আকর্ষণ হল এর [6 ন্যানোমিটার] মিডিয়া টেক হেলিও জি 99 প্রসেসর। এর প্রসেসর এই ফোনটিকে এই দামের মধ্যে অন্যান্য মোবাইলের তুলনায় পারফরমেন্স এর দিক থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছে এছাড়াও Infinix এর দ্বারা ডেভেলপ করা বলেছেন ফনটিতে X-Boost গেমিং ইঞ্জিন রয়েছে, যা এই ফোনে গেমিং অভিজ্ঞতাকে আরও অসাধারণ করে তুলবে ।
আপনারা অনেকেই আছেন যারা দীর্ঘ সময় ধরে গেম খেলেন, এই Infinix Hot 40 Pro মোবাইলটি আপনাকে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেবে, কারণ এতে রয়েছে 5000 mAh ব্যাটারি এবং একটি 33W দ্রুত চার্জিং সিস্টেম। Infinix দাবি করেছে যে ফোনটি ৩৫ মিনিটে ২০% থেকে ৮০% পর্যন্ত চার্জ করা যাবে । এছাড়াও চার্জিংয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, এই ফোনে একটি রিয়েল টাইম তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ সিস্টেম রয়েছে, যা ইনফিনিক্স জানিয়েছে ।
Infinix Hot 40 Pro ফোনে 8 GB RAM রয়েছে, এবং ভার্চুয়াল RAM এর সুবিধা ব্যবহার করে RAM 16 GB পর্যন্ত বাড়ানো যাবে । ফোনটিতে সাইড মাউন্ট করা ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরও রয়েছে।
ডিভাইসটি Android 13 এর উপর ভিত্তি করে XOS 13.5 অপারেটিং সিস্টেমে চলবে। Infinix Hot 40 Pro-তে একটি 6.78-ইঞ্চি ফুল HD+ পাঞ্চ-হোল ডিসপ্লে রয়েছে। ডিসপ্লে থেকে ফাস্ট অভিজ্ঞতা পেতে 120 Hz রিফ্রেশ রেটও রয়েছে। এছাড়াও এই ফোনে একটি মাল্টি ফাংশনাল এনএফসি ফিচার রয়েছে যা সহজেই ডেটা শেয়ার করতে বা ক্রেডিট কার্ড পেমেন্ট করতে পারে ।
ডিভাইসটিতে 108 মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা সহ আরও দুটি সেন্সর রয়েছে । এছাড়া ফোনের সামনে একটি 32 মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা রয়েছে। যা উচ্চ রেজুলেশনের ক্যামেরা, সেই কারণে ফোন থেকে ভালো ও পরিষ্কার ছবি পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে ।
এক নজরে Infinix Hot 40 Pro এর কিছু ফিচার :
- ডিসপ্লে : 6.78 ইঞ্চি + 120 Hz রিফ্রেশ রেট
- প্রসেসর : MediaTek Helio G99
- র্যাম : 8 GB
- স্টোরেজ : 128 জিবি
- পিছনের ক্যামেরা : 108 মেগাপিক্সেল ট্রিপল
- সেলফি ক্যামেরা : 32 মেগাপিক্সেল
- ব্যাটারি : 5000 mAh
- চার্জিং : 33 ওয়াট
Infinix Hot 40 Pro এর দাম কত?
Infinix Hot 40 Pro এর দাম 19,999 টাকা । ফোনটি Infinix অনুমোদিত শোরুম এবং দারাজ থেকে কেনা যাবে। Infinix Hot 40 Pro ফোনটি দেশীয় বাজারে তিনটি রঙে পাওয়া যাবে Palm Blue, Horizon Gold এবং Starlit Black। অন্য সব গেমিং ফোনের মতো Infinix Hot 40 Pro ফোনের মূল ফোকাস ছিল এর প্রসেসরের উপর । তাই এই ফোনে ভালো মানের ডিসপ্লে সেটআপ এবং অসাধারণ ক্যামেরা ফিচার রয়েছে, যা একটি ভালো জিনিস । ফোন সম্পর্কে আরো বিস্তারিত রিভিও দেখতে ইউটিউব চ্যানেল দেখতে পাড়েন।
গেমিং ফোনের বৈশিষ্ট্য কী কী?
বিভিন্ন ব্র্যান্ড তার দামী মোবাইল গুলোতে সমস্ত রকম লেটেস্ট হার্ডওয়্যার সফটওয়্যার ও ফিচারস দিয়ে থাকে । আমাদের সবার ক্ষেত্রে সেই সকল মোবাইল ইচ্ছে থাকলেও অনেকে বাজেটের কারণে ব্যবহার করা সম্ভব হয়ে ওঠে না । তাই বলে কম দামী মোবাইল গুলি আপনার প্রয়োজন ও সমস্ত রকম কাজ করতে পারে না, বিষয়টা কিন্ত তেমন না । কিছু কম দামী মোবাইল এমনও রয়েছে যাতে কিছু কিছু ফিচারস বাদ দিয়ে বাকি সব ব্যাপারে দামী মোবাইলকে টক্কর দেয়ার মতোও ক্ষমতা রাখে ।
বাজেট মোবাইল গুলোর মধ্যে কিছু মোবাইলে ক্যামেরা ভালো থাকলে লেটেস্ট প্রসেসর থাকে আবার কিছু লেটেস্ট প্রসেসর দিয়ে পারফরম্যান্স ভালো করলেও ক্যামেরা ভালো থাকে না । তাই আপনার ধারণটা আগে ঠিক করতে হবে যে আপনার প্রয়োজন টা কি ? যদি আপনি ফটোগ্রাফি করতে ভালবাসেন তাহলে ক্যামেরা ভালো তেমন মোবাইল কিনতে হবে, আর যদি গেম বেশি খেলতে পছন্দ করেন তাহলে গেমিং মোবাইল নিতে হবে এটাই স্বাভাবিক । এখন অনেক ব্রান্ড রয়েছে যেমন ROG মোবাইল । তাই আপনার প্রয়োজন হিসাবে সেট করুন যে আপনার বাজেট কতো এখন ফোন কেনার আসল উদ্দেশ্য কি ।
সেরা স্মার্টফোন কিভাবে নির্বাচন করবেন ?
একটি মোবাইল অনেকগুলি যন্ত্রাংশ দিয়ে বানানো হয়, তাই সব কিছু আপনার পক্ষে দেখা সম্ভব না। একটি ভালো মোবাইলের যে বিষয় গুলি খেয়াল রাখবেন তা হচ্ছে ।
1. Display : মোবাইল ডিসপ্লে কেমন সাইজের ব্যবহারে আপনি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন সে হিসেবে সাইজ নির্বাচন করবেন । আজকাল মোবাইলের স্ক্রীন ৫ থেকে ৭ ইঞ্চি অবদি হয়ে থাকে । বর্তমানে মোবাইল ফোন গুলিতে এইচডি, ফুল এইচডি, এইচডি প্লাস, 4k রেজ্যুলুশনেরও ডিসপ্লে দেওয়া হয়ে থাকে। আপনার ডিসপ্লের পিপিআই যত বেশি থাকবে স্কিনের কোয়ালিটি ততই উন্নতো হবে। বর্তমানে এলসিডি, টিএফটি, আইপিএস, অ্যামোলেড, ডিসপ্লে প্যানেলের অনেক মোবাইল বাজারে পাওয়া যায়।
2. Processor : মোবাইলের প্রাণ হলো প্রসেসর। একটি ফোনকে ভালো পারফরম্যান্স দিতে হলে প্রয়োজন একটি শক্তিশালী প্রসেসর । বর্তমান কয়েকটি কোম্পানির স্মার্টফোনের জন্য প্রসেসর তৈরি করে থাকে যেমন, ইন্টেল, কোয়ালকম, অ্যাপেল, মিডিয়াটেক, স্যামসাং, হুয়াওয়ে, সহ বেশ কয়েকটি কোম্পানি ।
তবে পারফরম্যান্সের বিচারে অ্যাপেলের পরে জায়গা দখল করে রয়েছে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন । স্যামসাং তার ফোনে নিজস্ব প্রসেসর এক্সিনস ব্যবহার করে থাকে । বর্তমানে স্ন্যাপড্রাগন এর 888, স্যামসাংয়ের এক্সিনস 9825, মিডিয়াটেক হেলিও p95 খুব ভালো মানের প্রসেসর । মোবাইল কেনার সময় আপনার বাজেট হিসাবে একটি ভালো মানের প্রসেসর এর মোবাইল ক্রয় করা দরকার ।
3. GPU : স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে ভালো প্রসেসর এর পাশাপাশি ভালো জিপিইউ থাকাটাও প্রয়োজন । বর্তমানে অ্যাড্রিনো 660, 650,640, 630, ম্যালি g78, g77, G76, g72 ভালো মানের জিপিউ । মোবাইল কেনার সময় অবশ্যই দেখবেন ভালো মানের জি,পি,ইউ, সম্বলিত স্মার্টফোন।
গেমিং পিসি বা ল্যাপটপ কেনার সময় কি কি খেয়াল রাখা উচিত?
প্রথমেই আপনাকে বাজেট ঠিক করে নিতে হবে কেননা গেমিং পিসি ৬-৭ লাখ এর ও আছে, এবং ৭০-৮০ হাজার টাকার ও আছে। এটা ঠিক করে নিতে হবে যে আপনি কি ধরনের গেম খেলবেন। গেমিংকরার জন্য আপনাকে ঠিক করে নিতে হবে যে কি গ্রাফিক্স কার্ড কিনবেন। বা কোন কোন সিরিজ এর নেবেন সেটা বিস্তারিত ইন্টেরনেটে একটু রিভিউ দেখে নিয়েন কেনার আগে। এর পরেই আসে প্রসেসর কোন ব্যান্ডের এবং কোন মডেলের। তারপরে মাদারবোর্ড। আপনি গেমিং এর জন্য আলাদা মাদারবোর্ড পাওয়া যায়। এর সাথে কুলিং সিস্টেম, ডেক্সটপ পিসির জন্য ক্যাসিং।
ক্যাসিং কেনার সময় খেয়াল রাখবেন যেন বাতাস চলাচল করা সুবিধা হয়। ফ্যানের সংখা যত বেশি তত ভালো। কুলিং সিস্টেম সিলেকশনের ক্ষেত্রে আপনি সাধারন কুলিং নিতে পারেন। তবে ওয়াটার কুলিং সিস্টেম আমার মতে নেওয়া ভালো। সবকিছু হিসেব করে একটা পাওয়ার সাপ্লাই নিয়ে নেবেন। একটা ব্যাপার, যদি পরবর্তীতে অতিরিক্ত গ্রাফিক্স কার্ড লাগানোর প্লান থাকে, তবে আগে থেকেই সেই হিসেব করে পাওয়ার সাপ্লাই এর ওয়াট ঠিক করে নেবেন। না হলে নতুন করে আবার কেনা লাগবে।
এরপর হার্ডডিক্স একটু বেশি করেই নেবেন। কেনন গেমের সাইজ একটু বেশিই হয়। এক্ষেত্রে, SSD বা M.2 নিলে ভালো হবে। আর কিছু টাকা যদি বাজেট থেকে বেঁচে যায় তবে একটা Intel Opten Memory নিয়ে নেবেন, কাজে দেবে। ল্যাপটপের এর ক্ষেত্রেও ব্যাপাটা একই, তবে ল্যাপটপে চাইলেই হুট করে আপনি আপগ্রেড করতে পারবেন না, তাই এই সব জিনিস কেনার আগে ভালোভাবে আগে যাচাই বাচাই করুন। যারা গেম একটু বেশি খেলেন তারা একটু লাইটিং পছন্দ করেন, তাই ফ্যান ও র্যাম নেওয়ার সময় দেখে নেবেন যে, আপনার এই লাইটিং লাগবে কিনা। আর কালার্ড নিলে ক্যাসিং অবশই কাঁচের নেবেন।
techgrue.com এর সাথে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।