অফিসিয়াল ও আনঅফিসিয়াল ফোনের পার্থক্য কি? - আসল ও নকল মোবাইল চেনার উপায় 2024

অফিসিয়াল ও আনঅফিসিয়াল ফোনের পার্থক্য কি? - আসল ও নকল মোবাইল চেনার উপায় 2024

স্মার্টফোন কেনার সময় আমাদের মনে বা মাথায় দুটি জিনিস আসে, সেটি হচ্ছে অফিসিয়াল না আনঅফিসিয়াল। তখন আমরা অনেক চিন্তা ভাবনার মধ্যে পড়ে যাই। স্মার্টফোনের দাম বাড়ার কারণে আমরা অনেকেই চিন্তা করে থাকি যে একটি আনফিশিয়াল ফোন কিনে নিয়ে আসব। 

কিন্তু আপনি কি জানেন অন অফিশিয়াল মোবাইল চালালে আপনার কি কি ক্ষতি বা সমস্যা হতে পারে, সেটি নিম্নে আলোচনা করা হলো :   

বাংলাদেশের স্মার্টফোনের বাজারে বর্তমানে দেশি-বিদেশি কোম্পানিগুলোর আধিপত্য রয়েছে।  বিভিন্ন দেশ থেকে অসংখ্য কোম্পানি তাদের অসংখ্য নতুন মডেলের স্মার্টফোন নিয়ে আসছে।  কিন্তু এর মধ্যে কিছু স্মার্টফোন রয়েছে, যেগুলো সরকারকে কর পরিশোধের পর দেশে প্রবেশ করে।  এসব ফোনের আইএমইআই নম্বরগুলো সরকারি ডাটাবেসে সংরক্ষিত থাকে বলে ভবিষ্যতে কোনো সমস্যা হলে এই নম্বরগুলোর মাধ্যমে যে কেউ উপকৃত হবে।

এদিকে, আনঅফিসিয়াল ফোনগুলো এমনই যেগুলো সরকারের ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে দেশে প্রবেশ করে।  ফলে তাদের আইএমইআই নম্বরগুলো সরকারি ডাটাবেসে সংরক্ষিত থাকে না।  এমন ফোন কিনলে অদূর ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। আপনার ডিভাইসের ওয়ারেন্টি সময়কালে ফোন সার্ভিসিংয়ের জন্য আলাদা কোনো চার্জ নেই।  তবে আনঅফিসিয়াল ফোনের ক্ষেত্রে এই সুবিধা পাবেন না।  এছাড়া আনঅফিসিয়াল ফোন হারিয়ে গেলে মালিককে ফোন খুঁজতে সমস্যায় পড়তে হবে।

 তবে অফিসিয়াল ও আনঅফিসিয়াল ফোনের মাধ্যমে কেউ আসল না নকল শনাক্ত করতে পারবে না।  অনানুষ্ঠানিক ফোনগুলি ব্র্যান্ডেড ফোন হতে পারে, তবে, তারা স্বাভাবিকভাবেই সরকার থেকে কর ফাঁকি দিয়ে দেশে প্রবেশ করে।  যেহেতু সরকারকে ট্যাক্স দিতে হয় না, তাই এক থেকে তিন হাজার টাকা ছাড়ে এসব ডিভাইস পাওয়া যাচ্ছে।  একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে এসব পণ্য কেনা উচিত নয়। আমরা কীভাবে অফিসিয়াল এবং তান অফিসিয়াল মোবাইল চেক করব তা নিম্নে বর্ণনা করা হলো। 

মোবাইল ফোন হচ্ছে একটি প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ জিনিস,  অনেক লোক তাদের ফোনের দিকে কয়েকবার না তাকিয়ে সারাদিন পার করা কিছুটা কঠিন বলে মনে করে। কল্পনা করুন একদিন আপনি ঘুম থেকে উঠে দেখেন আপনার ফোন আর কাজ করছে না। কেবলমাত্র এটি একটি ভিডিও প্লেয়ার ছাড়া আর কিছুই  না। কারণ এটি আর অফিসিয়াল মোবাইল হওয়ার কারণে সরকার দ্বারা মোবাইল গুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এটা খুব হতাশাজনক ।  

তাই মোবাইল কেনার আগে আপনি ১০০ বার চিন্তা করবেন দরকার হলে ২০০০ টাকা বাজেট বাড়িয়ে আপনি অবশ্যই অফিশিয়াল ফোনটি কিনবেন না হলে আপনার মোবাইল যখন তখন বন্ধ হয়ে যেতে পারে আমাদের দেশে দেশি বিদেশি অনেক মোবাইল কোম্পানি আছে, যারা বৈধভাবে মোবাইল বিক্রি করে যাচ্ছে কিন্তু কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছে যারা বিদেশ থেকে অল্প টাকায় ভ্যাট ট্যাক্স ছাড়া মোবাইল ফোন কিনে বাংলাদেশে নিয়ে আসে। এবং সেগুলোকে কম দামে বিক্রি করে দেয়, এগুলোকে আমরা সাধারণত ভাবে আনঅফিশিয়াল মোবাইল বলে থাকি। 

সরকার ছেলেই অ্যান অফিসিয়াল মোবাইলগুলো নিমেষের মধ্যেই বন্ধ করে দিতে পারেন, কারণ এই আনঅফিসিয়াল মোবাইল গুলোর আই,এম,ই,আই, সরকারের খাতার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকে না।  এর ফলে আমরা এই মোবাইল গুলোকে আন অথরাইজ বানাইন অফিশিয়াল মোবাইল বলে আখ্যায়িত করি। 

অফিসিয়াল এবং আনঅফিশিয়াল মোবাইলের মধ্যে পার্থক্য কি? 

একটি অফিসিয়াল ফোন কি: একটি অফিসিয়াল ফোন মানে যা বৈধভাবে ভ্যাট ট্যাক্স দিয়ে দেশে প্রবেশ করেছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ভ্যাট এবং অন্যান্য কর প্রদান করেছে।

আপনার মোবাইলটি স্থানীয়ভাবে বৈধ হতে হলে IMEI অবশ্যই দেশের মোবাইল ফোনের সরকারি ডাটাবেসে নিবন্ধিত থাকতে হবে। আমরা তখনই ওই ফোনগুলোকে অফিসিয়াল মানি যেগুলোর আইএমইআই সরকারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

অফিসিয়াল ফোনের বৈশিষ্ট্য: প্রদত্ত ভ্যাট এবং অন্যান্য কর ফাঁকি দিয়ে যারা মোবাইল দেশের মধ্যে প্রবেশ করায় এবং থার্ড পার্টি দোকানে মোবাইল বিক্রি করে।  তখন আমরা সেগুলোকে আন অথরাইজ প্রোডাক্ট হিসেবে চিনি থাকি অর্থাৎ আনঅফিসিয়াল মোবাইল।

 মূল কথা যে সকল মোবাইল গুলির আইএমইআই সরকারের ডাটাবেজে নিবন্ধিত থাকে না, সেগুলোকেই আমরা একেবারে অন অফিশিয়াল মোবাইল বলে থাকি। 

অফিসিয়াল এবং অফিসের মোবাইলের মধ্যে পার্থক্য গুলিঃ 

সাধারণত অফিসিয়াল এবং অফিসিয়াল মোবাইলের মধ্যে ইন্টার্নাল ভাবে কোন পার্থক্য থাকে না, অর্থাৎ আপনি অফিশিয়াল মোবাইল দিয়ে যে সকল কাজ করতে পারবেন, সে কাজগুলো আনঅফিসিয়াল মোবাইল দিয়ে নিশ্চিন্তে করতে পারবেন। আমরা অনেকেই কল্পনা করে থাকি যে অফিসিয়াল মোবাইল গুলোর পার্টস গুলি মনে হয় নকল হয়ে থাকে।  কিন্তু এটা নয় আনঅফিসিয়াল মোবাইল গুলো একই কোম্পানির এবং একই কোম্পানির ভিতরে তৈরি করা হয়। যা পরবর্তীতে এগুলোকে বিভিন্ন দেশে ডিস্ট্রিবিউট করে দেওয়া হয়। 

যে দেশে ভ্যাট ট্যাক্স দিয়ে মোবাইল গুলিকে কেনা হয় সেই দেশে মোবাইল গুলোকে অফিসিয়াল বলে গণ্য করা হয়। যেই দেশে ভ্যাট ট্যাক্স দিয়ে ফোনগুলোকে কেনা হয় না সেই দেশের ফোন গুলোকে আন অথরাইজ বা আনঅফিসিয়াল ফোন বলা হয়। এন্ড অফিসিয়াল মোবাইলের অসুবিধা : অফিসিয়াল ফোনের কর্তৃপক্ষকে ভ্যাট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ট্যাক্স না দিয়েই বেসরকারী ফোনগুলি দেশে পাচার করে নিয়ে আসে। এগুলি সাধারণত অফিসিয়াল ফোনের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ২/৫ হাজার টাকা কম দামে বিক্রি হয়। এই ফোনগুলি অফিসিয়াল ফোনের মতোই দেখতে এবং কাজও ঠিক একইভাবে করে ৷

এছাড়াও, আপনি চাইলে আপনার অনফিসিয়াল মোবাইল  সরাসরি কাস্টমার কেয়ারে বিনা খরচে মেরামত করিয়ে নিতে পাড়বেন না। কিন্তু আপনার মোবাইল ফোনটি যদি অফিশিয়াল হতো তাহলে আপনি এক বছর ওয়ারেন্টির জন্য কোন সমস্যায় পড়তে হত না, কিন্ত অফিসিয়াল ফোন হলে কাস্টমার কেয়ার আপনাকে ফ্রি মোবাইলটি সার্ভিসিং করে দিত । 

অফিসিয়াল ও আনঅফিসিয়াল ফোন কিভাবে চেক করবেন?

সমস্ত অফিসিয়াল বা অনঅফিশিয়াল স্মার্টফোনে একটি 15 ডিজিটের IMEI নাম্বার থাকে।  যা ডিভাইসের প্যাকেজিংয়েও লেখা থাকে স্পেশাল এই কোডটি আপনাকে একটি সঠিক তথ্য প্রদান করবে যে এই ফোন একটি অফিসিয়াল ফোন কি না তা চিনতে সাহায্য করবে ৷

আপনার মোবাইলটা অফিসের কিনা সেটি আপনি বিভিন্ন ভাবে চেক করতে পারেন। প্রথমে আপনার ফোনের জন্য 15 সংখ্যার IMEI খুজে দেখুন আপনি এটি দুটি উপায়ে পেতে পারেন। 

*#06# ডায়াল করুন IMEI অটোমেটিক ফোনের স্কিনে আপনার ১৫ ডিজিটের IMEI নাম্বারটি শো করবে। এবং অন্যথায় আপনার ফোনের কার্টুনটি বা বক্সটি খুজুন সেখানে দেখবেন বাক্সটির গায়ে IMEI নাম্বার লেখা রয়েছে। SMS ব্যবহার এর মাধ্যমে কীভাবে অফিসিয়াল এবং অনঅফিসিয়াল ফোন চেক করবেন, আপনার ফোনের মেসেজিং অ্যাপ খুলুন এবং টাইপ করুন “KYD, একটি স্পেস দিন এবং 15 সংখ্যার IMEI নম্বর টাইপ করুন।

যেমন "KYD 123456789012345" বার্তা পাঠান 16002 নম্বরে । আপনি সঙ্গে সঙ্গে একটি SMS এর মাধ্যমে একটি উত্তর পাবেন যা নিশ্চিত করবে যে আপনার ফোন অফিসিয়াল কিনা। SMS এর জন্য আপনাকে কোন টাকা চার্জ করা হবে না।

মন্তব্য : সকল কথার শেষ কথা হচ্ছে অফিসিয়াল এবং অফিসিয়াল ফোনের মধ্যে যে পার্থক্যগুলো উপরে উল্লেখ করা হলো তা নিশ্চয়ই আপনার বুঝে এসেছে। তাই যে কোন ফোন বা প্রোডাক্ট কেনার আগে অবশ্যই সেটি অথেনটিক প্রোডাক্ট কিনা সেটা চেক করে কিনে নিতে হবে। 

মোবাইল কেনার সময়ও ব্যাপারটা ঠিক তেমনি, কারণ আপনি যখন ফোন কিনবেন। তখন অবশ্যই আপনাকে আমি সাজেস্ট করব যে আপনি অফিশিয়াল (ফোনটি ২০০০ টাকা) বেশি করে দিয়ে কিনে নিয়ে আসবেন। তাহলে আপনি নির্বিঘ্নে এক বছর চালাতে পারবেন, এবং এই এক বছরের মধ্যে ফোনের যে কোন সমস্যা হলে ফোন কোম্পানি সেটিকে আবার ঠিক করে দিতে দায়বদ্ধ থাকিবে।  এজন্য অফিসিয়াল মোবাইল কেনার মধ্যে অনেক ফায়দা রয়েছে। আর্টিকেলটিকে এতক্ষন মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। 

2 মন্তব্যসমূহ

  1. এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।

    উত্তরমুছুন
  2. Confused about the difference between official and unofficial phones? Look for unique identifiers like IMEI numbers, warranty status, and packaging details to distinguish original from fake mobiles. For more tech tips, check out AmbitionHost"

    উত্তরমুছুন
নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম