প্রিয় পাঠক বৃন্দাবন আজকে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে জানতে পারবেন চিরতরে
গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়। আপনাদের সাথে শেয়ার করব গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়
এবং গ্যাস্ট্রিক দূর করার খাবার এগুলো সম্পর্কে
আপনি যদি জানতে চান দূর করার উপায় এবং গ্যাস্ট্রিক দূর করার খাবার ওষুধের নাম বিস্তারিত সবকিছু তাহলে। আপনি আজকে আমাদের আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ অব্দি পড়তে পারেন। নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো পড়ুন।
চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়
আপনার অনেকে জানতে চান চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়। আসলে চিরতরে
গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় সম্পর্কে আমি যেগুলো ধারণা আপনাদের সেগুলো যদি আপনি
মেনে চলেন তাহলে আপনার গ্যাস্ট্রিক হবে না। তো নিচে আলোচনা করা
হলো চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় সম্পর্কে দেখুন
- খাবার আধা ঘন্টা পর পানি খাবেন
- খাবারের উপর হালকা একটু জিরে চিবিয়ে খাবেন
- এবং প্রতিনিয়ত সারাদিনে পানি পান করবেন
- ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার পরিত্যাগ করবেন
- জাঙ্ক ফুড থেকে এড়িয়ে চলবেন
- সকালে খালি পেটে পানি পান করবেন
- রাতে ঘুমানোর আগে খাবার ৩০ মিনিট পর পানি পান করবেন
এসবগুলো নিয়ম মেনে চললে আপনি চিরতরে গ্যাস খুব দূর হয়ে যাবে। এগুলোই মূলত
চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়।
আরো পড়ুনঃ খুসখুসে বিরক্তিকর কাশির ঔষধ
গ্যাস্ট্রিক দূর করার খাবার
এই অংশে আমি নিচে আপনাদের সাথে গ্যাস্ট্রিক দূর করার খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা করব। নিচে আপনাদের সাথে আলোচনা করা হলো গ্যাস্ট্রিক দূর করার খাবার
সম্পর্কে। দেখুনঃ
- ভাজাপোড়া চিপস চকলেট এড়িয়ে চলুন
- জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলুন
- খাবার আধাঘন্টা পর পানি পান করুন
- খাবার আধা ঘন্টা পর পানি পান করলে গ্যাস্ট্রিকের প্রবলেম হয় না
- সকালে খালি পেটে পানি পান করুন
- রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পানি পান করুন
- তবে অবশ্যই খাবার আধা ঘন্টা পর রাতে পানি পান করতে হবে
- সকালবেলা খাবার এর আগে একটু জিরা চিবিয়ে খেয়ে পানি পান করুন
- এবং গ্যাস চেপে না রেখে সময় মতন বের করে দিন
- গ্যাস চেপে রাখলে অনেক প্রবলেম হতে পারে
তো উপরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার খাবার এর সাথে সাথে কিভাবে গ্যাস্ট্রিক কমবে সেই
পরামর্শ গুলোও দিয়া হয়েছে। আপনি পুরো টি ভালো করে পড়লে বিস্তারিত বুঝে
যাবেন।
গর্ভাবস্থায় গ্যাস্ট্রিকের ঔষধের নাম
আপনি যদি জানতে চান গর্ব অবস্থায় গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের নাম ।সম্পর্কে
তাহলে আজকে আমাদের এই পোস্টটি পড়ুন। আজকে আমাদের এই পোস্টে বিস্তারিত
আলোচনা করা হলো গর্ভাবস্থায় গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের নাম সম্পর্কে নিচে
যে দুটি গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের নাম আপনাদের সাথে শেয়ার করা হবে সেগুলো আপনি
গর্ভাবস্থায় খেতে পারবেন।
- সেকলো
- সেকোটিল
আপনি যদি যেকোন ফার্মেসী তে দিয়ে উপরে দেয়া দুই ওষুধের নাম বলেন। তাহলে তারা
আপনাকে এই দুইটি ওষুধের নাম বলার সাথে সাথে ওষুধটি বের করে দেবে। এবং এই ওষুধটি
আপনি গর্ভাবস্থায় খেয়ে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
গ্যাস্ট্রিকের ব্যথার লক্ষণ
আপনারা অনেকে জানতে চান গ্যাস্ট্রিকের ব্যথার লক্ষণ তো আমি আপনাদেরকে এমনই কিছু
তালিকা অনুযায়ী বুলেট মার্ক করে কয়েকটি বিবরণ দিব গ্যাস্ট্রিকের ব্যথার লক্ষণ
সম্পর্কে। যেগুলোর মাধ্যমে আপনারা কিছুটা ধারণা পেতে পারেন কোনটা গ্যাস্ট্রিকের
ব্যথা।
- বুকের মাঝখানে ব্যথা
- পেটে ঘুরঘুরি
- পিঠে ব্যথা
- পিঠের নিচে ব্যথা
- মাজার কাছে আঁকড়ে ধরা
- বুকে আঁকড়ে ধরা
- পেট ফুলে ওঠা
- বমি বমি ভাব লাগা
- গলার কাছে ভারি ভারি লাগা
- কিছুক্ষণ পর পর বুকে আঁকড়ে ধরা
আঁকড়ে ধরা ব্যথা এক জায়গায় স্থির না থাকা।তখনই আপনি বুঝে নিতে পারবেন যে এটি
গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা। কারণ গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা এক জায়গায় আটকে থাকে না কিছু
কিছু সময় বুকে আবার কিছুক্ষণ সময় পেটে চলাফেরা করে। আপনার যদি গ্যাস্ট্রিকের
গ্যাস চলে আসে আপনি সেটি বের করে দিবেন। তাছাড়া আপনার গ্যাস্ট্রিকের আরো বড়
সমস্যা করতে পারেন।আশা করি বুঝতে পেরেছেন গ্যাস্ট্রিকের ব্যথার লক্ষণ।
আরো পড়ুনঃ যক্ষা বা টিবি রোগের লক্ষণ
গ্যাস্ট্রিকের ট্যাবলেট কোনটা ভালো
আপনারা অনেকেই জানতে চান গ্যাস্ট্রিকের ট্যাবলেট কোনটা ভালো। তো নিচে আমি দুটি
ট্যাবলেট আপনার সাথে শেয়ার করব। যেটি ছোট বড় সবাই খেতে পারবেন এবং উপকার
পাবেন তো গ্যাস্ট্রিকের ট্যাবলেট কোনটা ভালো জানতে নিচে পড়ুন।
- সেকলো
- সেকোটিল
- রেনিটেডিন।
- সার্জেল।
- রোলাক।
- সেকলো।
- রাবি প্লাজল
- ইসোরাল (Esoral) - এসকেএফ ফার্মা
- ইসুমি প্লাজল
- Pantonix
- Trupan
- Nexum) - স্কয়ার ফার্মা
- এক্সিয়াম (Exium) - রেডিয়ান্ট ফার্মা
আপনি যে কোন ওষুধের দোকানে গিয়ে উপরে সবুজ কালার মার্ক ওষুধ গুলোর নাম বললেই
তারা আপনাকে এদুটি ওষুধ দিয়ে দিবে। এগুলো মনে হচ্ছে স্কয়ার কোম্পানির ওষুধ
যেগুলো খুবই ভালো মানের ওষুধ। ছোট বড় সবাই খেতে পারবেন এবং শরীরে ইফেক্ট কম
পড়বে। এটি আপনার জন্য গ্যাস্ট্রিকের ট্যাবলেট গুলোর মধ্যে ভালো হবে।
গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি খাওয়া যাবে না
এই অংশ আমি শেয়ার করব আপনার সাথে গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি খাওয়া যাবে না। আপনি
যদি গ্যাস্ট্রিক হয় তাহলে আপনি যেগুলো খাবেন না যেগুলো থেকে দূরে
থাকবেন সেগুলো নিয়ে আলোচনা করব আজকের এই অংশে। গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি
খাওয়া যাবে না জানতে নিচের অংশটুকু পড়ুন।
- ভাজাপোড়া থেকে বিরত থাকবেন খাওয়া যাবে না
- জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে থাকবেন
- সব সময় খাবার আধা ঘন্টা পর পানি খাবেন।
- কাঁচা জিরে খাবেন খাবার আগে একটু এতে গ্যাস্ট্রিকের প্রবলেম ভালো হয়ে যায়
- পুরি সিঙ্গারা থেকে দূরে থাকুন
- কলমু শাক যেগুলো শাকে গ্যাস্ট্রিকের আছে সেগুলো থেকে দূরে থাকুন
- খাবার মেনটেইন করে খাবেন সবসময় খালি পেটে থাকলে গ্যাসের প্রবলেম হতে পারে
- রাতে ঘুমানোর আগে পানি খাবেন খাবার ৩০ মিনিট পরে (এতে করে গ্যাস্ট্রিকের প্রবলেম ভালো হয়ে যায়)
উপরে দেয়া এই সকল খাবার গুলো আপনি বয়কট করবেন এবং খাবেন না। আপনি শখে খেতে
পারেন তাছাড়া এগুলো খাবার আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তো আশা করি আমাদের
আর্টিকেলের এই অংশে আপনি বুঝতে পেরেছেন গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি খাওয়া যাবে না।
গ্যাস্ট্রিকের সিরাপ কোনটা ভালো
এই অংশে আমি আপনাদের সাথে এমনি কয়েকটি গ্যাস্ট্রিকের সিরাপ সম্পর্কে আলোচনা করব
যেগুলো খেয়ে আপনার অনেক উপকৃত হবেন এবং আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন
গ্যাস্ট্রিকের জন্য সিরাপ কোনটা ভালো। মূলত আমি এই অংশে যেগুলো সিরাপ আপনাদের
সাথে শেয়ার করব।প্রত্যেকটা সিরাপই ভালো আপনি চাইলে প্রত্যেকটা সেবন করতে পারেন
আপনার ইচ্ছামতন ফার্মেসিতে গিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ছোট বাচ্চারাও এটি সেবন
করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ কলেরা রোগের প্রতিকার
গ্যাস্ট্রিকের সিরাপ
- আরলজাইম সিরাপ
- অ্যানটানিল প্লাস
- কারমিনা সিরাপ
- এন্টাসিড প্লাস সিরাপ
- গ্যাভিসল
- ইসুমি প্লাজল
- Pantonix
- Trupan
- Nexum) - স্কয়ার ফার্মা
- এক্সিয়াম (Exium) - রেডিয়ান্ট ফার্মা
- গ্যাসট্রোকন ডি এ সিরাপ
- ফেমোট্যাক সিরাপ
- হারবিসল সিরাপ
উপরে এইগুলো মূলত গ্যাস্ট্রিকের সিরাপ। আপনি যদি চান তাহলে আপনার বাচ্চাদের কিংবা
যাদের গ্যাস্ট্রিকের সিরাপের প্রয়োজন তাদের সাথে উপরে চাপগুলো নিয়ে আলোচনা করতে
পারেন কিংবা ব্যবহৃত কাজে লাগাতে পারেন। আশা করি উপকৃত হয়েছেন আমাদের এই অংশটুকু
পড়ে আপনারা।
আরো পড়ুনঃ এলার্জি ঔষধ এর নাম
উপসংহার
আপনি যদি আজকের এই কনটেন্টি ভালোভাবে পড়েন এবং আপনার যদি গ্যাস্ট্রিকের
প্রবলেম থেকে থাকে। এবং আপনি যদি আমার আর্টিকেলটি পড়ে জানার পড় সেই দেখানো
নিয়মে যদি এগুলো অনুকরণ করেন তাহলে অবশ্যই আপনার গ্যাস্ট্রিকের প্রবলেম সারা
জীবনের মতন ভালো হয়ে যাবে। এবং গ্যাস্ট্রিক কেন হয় গ্যাস্ট্রিক সম্পর্কে অনেক
রকম তথ্য আপনি হয়তো বা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন আমার কন্টেনটি যদি পড়ে থাকেন।
তো আপনি যদি এমনই তথ্য পেতে চান রেগুলার তাহলে আমাদের এই ওয়েবসাইটটির রেগুলার
ভিজিট করতে পারেন। আশা করি আপনি সঠিক তথ্যগুলোতে উপকৃত হবেন।
Tags:
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা