আপনারা অনেকেই মুরগি বসে থাকেন এবং আপনাদের অনেকের মনে চিন্তা থেকে থাকে যে মুরগির ঝিমানো রোগের ওষুধ এবং দেশি মুরগি মনোরোগের প্রাকৃতিক চিকিৎসা সম্পর্কে কিংবা মাঝে মাঝে মুরগির চুনা পায়খানার ঔষধ এর প্রয়োজন হয়ে থাকে।
কিন্তু আপনারা সেটা জেনে থাকেন না যে কোন সময় মুরগিকে কোন ওষুধ খাওয়াতে হবে। নিচে বিস্তারিতভাবে দেয়া হলো মুরগির ঔষধ সম্পর্কে দেখুনঃ
মুরগির ঝিমানো রোগের ঔষধ
এই অংশে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব মুরগির ঝিমানো রোগের ওষুধ সম্পর্কে। মূলত মুরগির ঠান্ডা লাগলে কিংবা ভেতরে কোন অসুখ হলে মুরগি ঝিমাতে শুরু করে দেয় তো এই অংশে আমি সেই মুরগির ঝিমানো রোগের ওষুধ আপনার সাথে শেয়ার করতে চলেছি।
শীতকালে মুরগি কিন্তু ঠান্ডা লেগে থাকে সেই ক্ষেত্রে মুরগির ঝিমাতে শুরু করে এবং সর্বপ্রথম আপনি মুরগির ঝিমানো থামাতে মুরগিকে সুস্থ করতে একটি পাতিলে পানি নিয়ে অল্প পরিমাণ ছোট বাটিতে নিতে পারেন তার মধ্যে একটি প্যারাসিটামল চারটা ভাগ করুন করে একটা ভাগ সে পানির মধ্যে দিন। তারপরে এমোক্সিসিলিন এন্টিবেটিক ৫০০ মিলি ক্যাপসুল টা হাফ করে অর্ধেকটা দিয়ে দিন সে পানির মধ্যে। তারপরে প্যারাসিটামল ও এমোক্সিলিন এন্টিবেটিক মেশানোর পর সেই পানিটাকে একটি চামচ দিয়ে ভালো করে গুলে নিন। তারপর একটা ব্যবহারকৃত কিংবা নতুন ইনজেকশন সিরিজ নিয়ে তার মধ্যে সে পানিটিকে পূরণ করুন।পানি অবশ্যই আপনাকে ছোট সাইজের ইনজেকশন সিরিজ লোড হয় সেই পরিমাণে নিতে হবে। তারপর ওষুধ যুক্ত পানি মুরগিকে ভালোভাবে চেপে ধরে সিরিজ দিয়ে আস্তে করে আলতু ফালতু করে মুরগির মুখে পুশ করে মুরগিকে খাওয়াতে হবে। এতে মুরগির জ্বর কলেরা ঠান্ডা লাগা ঝিমানো ভাব ইনশাল্লাহ সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে।
দেশি মুরগির ঝিমানো রোগের প্রাকৃতিক চিকিৎসা
এই অংশে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব দেশি মুরগির ঝিমানো রোগের প্রাকৃতিক চিকিৎসা। তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক দেশি মুরগির ঝিমানো রোগের প্রাকৃতিক চিকিৎসা। বিস্তারিত দেয়া হলোঃ
দেশি মুরগির ঝিমানোর লোকের প্রাকৃতিক চিকিৎসা করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে কিছু জিনিস সংগ্রহ করতে হবে তার বৈশিষ্ট্য গুলো দেয়া হলো নিচে।
চিকিৎসাতে যে জিনিসগুলো লাগবে
- ছোট্ট একটি কাপ নিন
- কাপের মধ্যে হাফ কাপ পানি নিন
- একটি প্যারাসিটামল কে চার ভাগ করে ছোট্ট একটি ভাগ নিন
- এমোক্সিলিন এন্টিবেটিক কে মাঝখান থেকে ভেঙ্গে অর্ধেক ভাগ দিন
উপরের প্রয়োজনে জিনিসগুলো ব্যবহার করবেন যেভাবে
ছোট্ট কাপের হাফ কাপ পানির মধ্যে প্যারাসিটামল চার ভাগ করার পর যে এক ভাগ সেটি মিশিয়ে দিন তারপরে এমোক্সিলিন এন্টিবেটিক মাঝখান থেকে ভাগ করে ক্যাপসুলের ভেতরের ওষুধগুলো অর্ধেকটা ভেঙ্গে দিয়ে দিন। প্যারাসিটামল ও এমোক্সিলিন এন্টিবেটিক হাফ কাপ পানির মধ্যে চামচ দিয়ে ভালো করে গোলানোর পরে। একটি পরিষ্কার ছোট সাইজের ইনজেকশন সিরিজ নিন।তারপর সেই ইনজেকশন সিরিজটিকে ফুল লোড করে মুরগিকে ভালো করে আলতো করে চেপে ধরে মুরগির মুখের মধ্যে অল্প অল্প করে পুস করতে থাকে। এবং সম্পূর্ণ একটা মুরগিকে খাওয়াই দিন। আপনি যদি এই টিপসটিকে অবলম্বন করেন তাহলে মুরগির ঠান্ডা লাগা শীতকালীন ঝিমানো কলেরা তাছাড়াও জ্বর হলে ভালো হয়ে যাবে। অবশ্য আপনি এটি অবলম্বন করতে পারেন।
মুরগির চুনা পায়খানার ঔষধ
প্রায় অনেক সময়তে মুরগির চুনা পায়খানার সমস্যা হয়ে থাকে তো আমি এই অংশে আপনাদের সাথে শেয়ার করব কিভাবে আপনারা মুরগির চুনা পায়খানার ওষুধ তৈরি করবেন এবং সেটিতে পরিপূর্ণ কার্যকারিতা পাবেন তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক নিচে বিস্তারিতঃ
মুরগির চুনা পায়খানার ঔষধ তৈরি করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে কিছু জিনিসের বৈশিষ্ট্য সংগ্রহ করতে হবে। সেই জিনিসগুলো দেওয়া হলো দেখুন নিচে।
- হাফ কাপ পানি নিন ছোট্ট কাপের
- সেই কাপের মধ্যে একটি ইমোটিল ক্যাপসুল হাফ করে অর্ধেক ক্যাপসুল এর ভেতরের অংশের ওষুধগুলো মিশিয়ে দিন।
- তারপর একটি এমোডিস নিন চারটি ভাগ করুন ছোট ছোট করে তার মধ্যে থেকে একটি ভাগ সেই কাপের পানির মধ্যে মিশিয়ে দিন।
- ইমোটিল ও এমোডিশ পরিমাণ মতন মিশনের পর ভালো করে পানিটাকে গুলিয়ে নিন
- আপাতত ঔষধের মিশ্রণটি রেডি
উপরের সম্পূর্ণ মিশ্রণটি রেডি করার পর একটি পরিষ্কার ছোট সাইজের ইনজেকশন সিরিজ নিন। তারপর সেই সিরিজটিকে সম্পূর্ণ করে ফেলুন। তারপর মুরগিকে আলতো করে চেপে ধরে আস্তে আস্তে পুশ করে সম্পূর্ণ ওষুধ থেকে খাওয়াই দিন। ইনশাল্লাহ দেখবেন মুরগির চুনা পায়খানা একদম ভালো হয়ে যাবে।
বিঃদ্রঃ ইমোটিল ও এমোডিস আপনি যেকোন ওষুধের ফার্মেসি থেকে কিনে নিতে পারেন।
দামঃ এমোডিসঃ২.৫০ টাকা মাত্র। ইমোটিলঃ ১ টাকা
শেষ কথাঃ আপনি যদি এই ধরনের আরো সকল তথ্য চান তাহলে আমাদের এই ওয়েবসাইটি ফলো করতে পারেন। সূচিপত্র দেখে আপনার প্রয়োজনীয় বিষয়বস্তুগুলো পড়ুন আশা করি উপকৃত হবেন। এবং এই ধরনের তথ্য পেতে আমাদের এই ওয়েবসাইট আকুয়া বিডি ফলো করুন।