কত বছর বয়সে সন্তানকে মোবাইল ব্যাবহার করতে দেওয়া উচিত । কেন ১৮ বছরের নিচে মোবাইল ব্যবহার করা উচিত না
শিরনামঃ কত বছর বয়সে সন্তানকে মোবাইল ব্যবহার করতে দেওয়া উচিত সেটা নির্ভর করা আপনার সন্তানের বিহেবিয়ার এর উপরে । এই সম্পকে আমরা আজ বিস্তারি আলোচনা করা হলো। বর্তমানে সময় স্ক্রিন বলতে আমরা বুঝি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসকে, স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, টিভি, আইপ্যাড ইত্যাদিকে বুঝায়, যেখানে ডিজিটাল ইমেজ বা ভিডিও দেখা যায় । আলোচনার খাতিরে স্ক্রিন এবং স্ক্রিনটাইম যুগ জামানা হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
মোবাইল ব্যবহার করার উপযুক্ত বয়স কত?
আমাদের প্রজন্ম এবং আমাদের সন্তানদের মধ্যে স্ক্রিনটাইম নিয়ে যোজন বিয়োজন পার্থক্য রয়েছে ৮০ দশকের শুরুতে বাবার চাকরির সুবাধে ছেলেরাও চাকরির জন্য ক্যারিয়ার ডেভলব করতো কিন্ত এখনকার ছেলে মেয়েরা মোবাইল, গেমস, অনলাইন ইনকাম এগুলো নিয়ে নিজেকে ব্যাস্ত রাখে।
আগে আমরা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ৩০ - ৪০ মিনিটের মতো টিভি দেখার জন্য খুবই আগ্রহী থাকতাম এবং প্রাইমারি স্কুল পর্যায়ে বন্ধুরা মিলে প্রায় দুই কিলোমিটার হেঁটে স্কুলে যেতাম। বেশিরভাগ সময় কাটত খেলা আর দুরন্তপনায়। আম বাগান ঘুরে ঘুরে পাখির বাসা খোঁজা, পুকুরে সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো, কিন্ত বর্তমান ছেলেমেয়েরা একটি সুজক পেলেই, ফোন ঘাটা শুরু করে দেয় ।
এই ব্যাপারগুলি পিতামাতাদের খতিয়ে দেখা দরকার, কারন অল্প বয়সে তাদের হাতে ডিভাইস তুলে দেওয়া সম্ভব না । আর যদি তারা একবার এই নেশায় আশক্ত হয়ে যায় তাহলে তাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাবে ।
৯০-এর পর থেকে ফুটবল আর ক্রিকেট বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে ঘরে ঘরে টিভি আসা শুরু হলো। তখন সাপ্তাহিক বড়জোর এক বা দুদিন ঘণ্টাখানেক কার্টুন দেখার কালচার ছিল শিশু-কিশোরদের মাঝে। তারপর ২০০০ সাল পরবর্তী সময় থেকে দেশে ইন্টারনেট ও স্মার্টফোনের যুগ শুরু হয় এবং এরপর পুরো পৃথিবীটাই যেন হুট করে পাল্টে গেল। যে শিশুরা উচ্ছলতা-চঞ্চলতায়,খেলাধুলায় ঘরের বাইরে মগ্ন থাকার কথা, তারাই এখন হয়ে উঠছে ঘরকুনো;খেলার পরিবর্তে তাদের চোখ এখন স্ক্রিনের দিকে স্থির হয়ে থাকে।
এখন তো কার্টুন-চ্যানেলের ছড়াছড়ি, টিভির রিমোট থাকে ব্যস্ত; ক্ষণে ক্ষণে চ্যানেল পাল্টানোর বাতিক কাজ করে সবার মধ্যে। সোস্যাল মিডিয়াতে দিব্বি কাটিয়ে দেওয়া যায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা; তারপরও কেন আগ্রহ মিটে না। আসক্তির মাত্রা এতই বেড়েছে যে, স্ক্রিন ছাড়া জীবনটাই কেমন যেন নিরস নিরস লাগতে শুরু করে এবং নিজের অজান্তেই হাত চলে যায় স্মার্টফোনের দিকে।
আমি শুধু এতটুকু তুলে ধরলাম এটি বোঝাতে যে, পূর্বে আমরা কতটুকু সময় টিভিতে (অর্থাৎ স্ক্রিনে) ব্যয় করতাম, আর বর্তমান প্রজন্মের সন্তানরা কতটুকু সময় স্ক্রিনে ব্যয় করে।
২০২২ সালের সরকারি জরিপে দেশের ৪ কোটি ১০ লাখ পরিবার আছে এবং এর মধ্যে (household) আড়াই কোটি (৬০%) পরিবারে টিভি রয়েছে। এটা এখন তাদের নিত্যদিনের সামগ্রী হিসেবে পরিগণিত হয়। দেশের মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর প্রায় অর্ধেক মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করে। ঢাকায় ৬২ শতাংশ শিশু স্মার্টফোন ব্যবহার করে, যাদের বয়স ৫ থেকে ১৭ বছর।
৫৯ মফসল-শহরে ঘরের বাইরে খেলাধুলা করার সুযোগ থাকলেও, স্ক্রিন আসক্তির কারণে শিশুদের মাঝে খেলতে অনীহা কাজ করে, পড়ে থাকে টিভি বা স্মার্টফোন নিয়ে। বর্তমান সময়ে শিশুরা স্ক্রিনের সংস্পর্শে এতটাই সময় কাটায় যে, দু-তিন বছর বয়সেই স্মার্টফোনের রহস্য ভেদ করতে পারে। স্ক্রিন ছাড়া খেতেও চায় না। ইদানীং এমন অবস্থা হয়ে গিয়েছে যে, ৫-৬ বছর বয়সী শিশুদের কাছে মায়ের চেয়ে স্মার্টফোন প্রিয় হয়ে উঠছে। দিনশেষে স্ক্রিনেই নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে শিশুর অপার সম্ভাবনা এবং তা ঘটছে পিতামাতার উৎসাহ বা তাদেরই গাফিলতির কারণে।
অতিরিক্ত স্ক্রিনটাইম যেভাবে মানসিক বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়ায়
গত ৫০-৬০ বছরের গবেষণায় প্রত্যেক সচেতন পিতামাতা এবং শিশুরোগ-বিশেষজ্ঞদের মতে—ডিজিটাল মিডিয়া বা স্ক্রিনের প্রভাবে শিশু-কিশোরদের মন- মানসিকতা এবং তাদের মাঝে আচরণগত পরিবর্তন হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বয়সের আগেই যৌন কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়া, মাদকাসক্ত, আক্রমণাত্মক স্বভাব, বদমেজাজ, সুইসাইড, স্থূলতা, অস্থিরতা এবং স্কুলের বাজে পারফরমেন্স ইত্যাদি।৬০ কৈশোরকালীন নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হলে তা শুধরানো অনেক কঠিন হয়ে পড়ে।
সম্প্রতি ১২ বছর বা তার কম বয়সী শিশুদের মন-মানসিকতা বিকাশে মাত্রারিক্ত স্ক্রিনটাইম কেমন প্রভাব ফেলতে পারে, তার ওপর একটি সিস্টেম্যাটিক এনালাইসিস প্রকাশ করে বিশ্ববিখ্যাত JAMA Psychiatry জার্নাল। সেই গবেষণাপত্রে ৮৭টি ভিন্ন ভিন্ন রিসার্চ-প্রজেক্টে অংশ নেওয়া ১,৫৯, ৪২৫ জন শিশুর স্ক্রিনটাইম বিশ্লেষণ করে বিশেষ কিছু আচরণগত পরিবর্তন লক্ষ করা গিয়েছে, যার মধ্যে শিশুদের আক্রমণাত্মক বা আগ্রাসী আচরণ, অমনোযোগিতা, উদ্বিগ্নতা এবং হতাশা উল্লেখযোগ্য।
সোস্যাল মিডিয়ার (ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক) শিশু-কিশোরদের ওপর যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, তা বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে। জীবনের পরিতৃপ্তি (life satisfaction) বিকাশের কোন পর্যায় বেশি সংবেদনশীল, তা নিয়ে সম্প্রতি বিশ্বের বিখ্যাত জার্নালে (Nature Communication) একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে ১৭,৪০৯ জন ব্রিটিশ কিশোর-কিশোরীর ওপর গবেষণায় দেখা যায় সোস্যাল মিডিয়ার সবচেয়ে নেতিবাচক প্রভাব ভিন্ন ভিন্ন সময়ে হয় ছেলে এবং মেয়েদের মাঝে। ছেলেদের ক্ষেত্রে এই নেতিবাচক প্রভাব ১৪-১৫ এবং ১৯ বছর আর মেয়েদের ক্ষেত্রে তা হয় ১১-১৩ এবং ১৯ বছর বয়সে।
challange boi, কত বছর বয়স থেকে মোবাইল ব্যবহার করা উচিত, দিনে কত ঘন্টা মোবাইল ব্যবহার করা উচিত, মোবাইল ব্যবহারের সময় সীমা কত থাকা উচিত, সন্তান প্রতি পালনে এ যুগের চ্যালেন্জ বই ব্যাংকে টাকা রাখলে হবে দ্বিগুন ডাবল বেনিফিট স্কিম । টাকা ডাবল করার সহজ উপায় আইএফআইসি ব্যাংক এফডিআরস্ক্রিন বা স্ক্রিনটাইম শব্দগুলো নিয়ে বর্তমানে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে।
স্ক্রিন বলতে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসকে (স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, টিভি, আইপ্যাড ইত্যাদি) বোঝায়,যেখানে ডিজিটাল ইমেজ বা ভিডিও দেখা যায়। আলোচনার খাতিরে স্ক্রিন এবং স্ক্রিনটাইম যুগপৎ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমাদের প্রজন্ম এবং আমাদের সন্তানদের প্রজন্মের মধ্যে স্ক্রিনটাইম নিয়ে যোজন-বিয়োজন পার্থক্য ছিল। ৮০-এর দশকের শুরুতে বাবার চাকরির সুবাধে আমার ছোটবেলা কেটেছে টাঙ্গাইলে মধুপুরের বিএডিসি ফার্মে। তখন পুরো কলোনিতে একটিমাত্র টিভি ছিল। সাপ্তাহিক ৩০-৪০ মিনিটের মতো টিভি দেখার জন্য আমরা উদগ্রীব থাকতাম—যদিও তা সব সময় দেখার সুযোগ হতো না।
প্রাইমারি স্কুল পর্যায়ে বন্ধুরা মিলে প্রায় দুই কিলোমিটার হেঁটে স্কুলে যেতাম। বেশিরভাগ সময় কাটত খেলা আর দুরন্তপনায়।আম বাগান ঘুরে ঘুরে পাখির বাসা খোঁজা, পুকুরে সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো,আব্বার সাথে নিয়মিত মাছ ধরতে যাওয়া। পড়াশোনা যে আসলে কী, তা বুঝতেই ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। ১৯৮৬-এর বিশ্বকাপ ফুটবল ম্যাচ দেখেছি প্রতিবেশীর বাসায়। ৯০-এর পর থেকে ফুটবল আর ক্রিকেট বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে ঘরে ঘরে টিভি আসা শুরু হলো।
তখন সাপ্তাহিক বড়জোর এক বা দুদিন ঘণ্টাখানেক কার্টুন দেখার কালচার ছিল শিশু-কিশোরদের মাঝে। তারপর ২০০০ সাল পরবর্তী সময় থেকে দেশে ইন্টারনেট ও স্মার্টফোনের যুগ শুরু হয় এবং এরপর পুরো পৃথিবীটাই যেন হুট করে পাল্টে গেল। যে শিশুরা উচ্ছলতা-চঞ্চলতায়,খেলাধুলায় ঘরের বাইরে মগ্ন থাকার কথা, তারাই এখন হয়ে উঠছে ঘরকুনো খেলার পরিবর্তে তাদের চোখ এখন স্ক্রিনের দিকে স্থির হয়ে থাকে। এখন তো কার্টুন-চ্যানেলের ছড়াছড়ি, টিভির রিমোট থাকে ব্যস্ত; ক্ষণে ক্ষণে চ্যানেল পাল্টানোর বাতিক কাজ করে সবার মধ্যে। সোস্যাল মিডিয়াতে দিব্বি কাটিয়ে দেওয়া যায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা; তারপরও কেন আগ্রহ মিটে না।
আসক্তির মাত্রা এতই বেড়েছে যে, স্ক্রিন ছাড়া জীবনটাই কেমন যেন নিরস নিরস লাগতে শুরু করে এবং নিজের অজান্তেই হাত চলে যায় স্মার্টফোনের দিকে।
আমি শুধু এতটুকু তুলে ধরলাম এটি বোঝাতে যে, পূর্বে আমরা কতটুকু সময় টিভিতে (অর্থাৎ স্ক্রিনে) ব্যয় করতাম, আর বর্তমান প্রজন্মের সন্তানরা কতটুকু সময় স্ক্রিনে ব্যয় করে।
২০২২ সালের সরকারি জরিপে দেশের ৪ কোটি ১০ লাখ পরিবার আছে এবং এর মধ্যে (household) আড়াই কোটি (৬০%) পরিবারে টিভি রয়েছে। এটা এখন তাদের নিত্যদিনের সামগ্রী হিসেবে পরিগণিত হয়। দেশের মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর প্রায় অর্ধেক মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করে। ঢাকায় ৬২ শতাংশ শিশু স্মার্টফোন ব্যবহার করে, যাদের বয়স ৫ থেকে ১৭ বছর।
৫৯ মফসল-শহরে ঘরের বাইরে খেলাধুলা করার সুযোগ থাকলেও, স্ক্রিন আসক্তির কারণে শিশুদের মাঝে খেলতে অনীহা কাজ করে, পড়ে থাকে টিভি বা স্মার্টফোন নিয়ে। বর্তমান সময়ে শিশুরা স্ক্রিনের সংস্পর্শে এতটাই সময় কাটায় যে, দু-তিন বছর বয়সেই স্মার্টফোনের রহস্য ভেদ করতে পারে। স্ক্রিন ছাড়া খেতেও চায় না। ইদানীং এমন অবস্থা হয়ে গিয়েছে যে, ৫-৬ বছর বয়সী শিশুদের কাছে মায়ের চেয়ে স্মার্টফোন প্রিয় হয়ে উঠছে।
দিনশেষে স্ক্রিনেই নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে শিশুর অপার সম্ভাবনা এবং তা ঘটছে পিতামাতার উৎসাহ বা তাদেরই গাফিলতির কারণে। গত ৫০-৬০ বছরের গবেষণায় প্রত্যেক সচেতন পিতামাতা এবং শিশুরোগ-বিশেষজ্ঞদের মতে—ডিজিটাল মিডিয়া বা স্ক্রিনের প্রভাবে শিশু-কিশোরদের মন- মানসিকতা এবং তাদের মাঝে আচরণগত পরিবর্তন হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বয়সের আগেই যৌন কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়া, মাদকাসক্ত, আক্রমণাত্মক স্বভাব, বদমেজাজ, সুইসাইড, স্থূলতা, অস্থিরতা এবং স্কুলের বাজে পারফরমেন্স ইত্যাদি।৬০ কৈশোরকালীন নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হলে তা শুধরানো অনেক কঠিন হয়ে পড়ে।
সম্প্রতি ১২ বছর বা তার কম বয়সী শিশুদের মন-মানসিকতা বিকাশে মাত্রারিক্ত স্ক্রিনটাইম কেমন প্রভাব ফেলতে পারে, তার ওপর একটি সিস্টেম্যাটিক এনালাইসিস প্রকাশ করে বিশ্ববিখ্যাত JAMA Psychiatry জার্নাল। সেই গবেষণাপত্রে ৮৭টি ভিন্ন ভিন্ন রিসার্চ-প্রজেক্টে অংশ নেওয়া ১,৫৯, ৪২৫ জন শিশুর স্ক্রিনটাইম বিশ্লেষণ করে বিশেষ কিছু আচরণগত পরিবর্তন লক্ষ করা গিয়েছে, যার মধ্যে শিশুদের আক্রমণাত্মক বা আগ্রাসী আচরণ, অমনোযোগিতা, উদ্বিগ্নতা এবং হতাশা উল্লেখযোগ্য।
সোস্যাল মিডিয়ার (ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক) শিশু-কিশোরদের ওপর যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, তা বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে। জীবনের পরিতৃপ্তি (life satisfaction) বিকাশের কোন পর্যায় বেশি সংবেদনশীল, তা নিয়ে সম্প্রতি বিশ্বের বিখ্যাত জার্নালে (Nature Communication) একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে ১৭,৪০৯ জন ব্রিটিশ কিশোর-কিশোরীর ওপর গবেষণায় দেখা যায় সোস্যাল মিডিয়ার সবচেয়ে নেতিবাচক প্রভাব ভিন্ন ভিন্ন সময়ে হয় ছেলে এবং মেয়েদের মাঝে। ছেলেদের ক্ষেত্রে এই নেতিবাচক প্রভাব ১৪-১৫ এবং ১৯ বছর আর মেয়েদের ক্ষেত্রে তা হয় ১১-১৩ এবং ১৯ বছর বয়সে।